ISKCON Mayapur
নদীয়া জেলা পশ্চিম বঙ্গের
মহাপ্রভুর ভবিষ্যৎ বানী সেই অদ্ভুত মন্দির এবং
পৃথিবীর সব চেয়ে উচু মন্দির- ইসকন
মায়াপুর /////////////১
৩৫ তলা বাড়ির সমান উচু মায়াপুর ইসকন মন্দির
হল পৃথিবীর সব চেয়ে উচু হিন্দু মন্দির। আসুন
দেখে নেই এই মন্দির- জেনে নেই কি কি আছে
এতে।
মায়াপুর বা শ্রীমায়াপুর পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া
জেলায় অবস্থিত একটি গ্রাম ও পশ্চিমবঙ্গের
অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্র ৷ এটি শ্রী চৈতন্যের
জন্মস্থান নামে খ্যাত ৷ এখানে ইস্কন প্রতিষ্ঠিত
চন্দ্রোদয় মন্দির আছে ৷ এই মন্দিরের অনেক
সেবক , যারা ইঊরোপ ও আমেরিকার নানা দেশ
থেকে আসে
ইস্কনের অতিথিশালায় সামান্য ভাড়ায় থাকার
আয়োজন করা যায় ৷ যেকোনো ধর্মের মানুষ
এখানে স্বাগত ৷
মায়াপুর কলকাতার সাথে সড়ক যোগে যুক্ত ৷
এছাড়া কলকাতার শিয়ালদহ রেল স্টেসান থেকে
ট্রেনে কৃষ্ণনগর এসে সেখান থেকে বাসে
মায়াপুর পৌঁছনো যায় ৷
স্থাপত্যের নিদর্শন হিসেবে ভারতের
স্থাপত্যরীতি বরাবর ধর্মীয় ভাবধারায় তার
অবস্থান জানান দিয়েছে। আর পৃথিবীর সব
চাইতে উচু এই মন্দির জানান দিয়েছে যে সে
মিসরের পিড়ামিডের চাইতে ও অনেক অনেক উচু।
আমেরিকার এ এফ বই ফাউন্ডেশনের আলফ্রেড বুশ
ফল্ড এই মন্দির করতে ৬০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে
বলে জানিয়েছেন।
বৈদিক গ্রাম ইসকন মায়াপুরের সাইট প্লান
আলফ্রেড আরও জানান যে এই মন্দির ২০২০ সালে
কাজ শেষ হবার পর পৃথিবীর সবচাইতে বিশাল
মন্দির হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে এবং এটা
দেখার জন্য দুরদুরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসবে
এখানে।
মায়াপুর ইসকনের ত্রিমাতৃক মডেল
এই মন্দির প্রায় ২২ একর ভুমির উপর অবস্থিত হবে।
যখন এটা স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তখন
মায়াপুর প্রজেক্ট সোসাইটি নামে একটি
চ্যারিট্যাবল বডি গঠন করা হয় যারা এই
প্রজেক্টের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে শুরু করে। এ বি
এফ এর ডিরেক্টর আরও বলেন এই ২০ একর গ্রামের
মাঝে থাকবে সকল হাঊজিং সুবিধা সমুহ যা
আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত।
মায়াপুর ইসকনের স্থাপত্য রীতি
মায়াপুর ইসকন উত্তর ভারতীয় নাগারা এবং
অরিসসার কলিংগ মন্দির গুলোর স্থাপত্য রীতি
অনুসারে ডিজাইন করা হয়েছে। এটাতে তিনটি
ডোম আছে যা মন্দিরটি অনেক দূর থেকে
প্রতিয়মান হওয়ার সাক্ষ বহন করে।
প্রথমেই থাকবে এক্সিভিশন হল। এখানে একটি
প্লানেটেরিয়াম ও থাকবে। এই এক্সিভিশন হল নয়
তলা উচ্চতার হবে যা সব চাইতে ছোট স্ট্রাকচার
হবে।
দ্বিতীয় স্ট্রাকচারটা হবে কীর্তন হল। এটি
আঠারো তলা উচ্চতা বিশিষ্ট হবে।এর মাঝে
থাকবেন শ্রীল প্রভুপাদ স্বয়ং।
তৃতীয় স্ট্রাকচার হল এর শিখারা বা শিখর এটি
প্রায় ৩৫ তলা সমান উচু হবে। এতেই থাকবে
মন্দিরের মূল অংশ।
মন্দিরের উচ্চতাঃ
খাজুরাহর মন্দিরের সাথে উচ্চতার ভিন্নতা (১১
শতক)
তাজমহ্লের সাথে উচ্চতার ভিন্নতা (১৭ শতক)
ইস্তাম্বুলের হেগা সোফিয়ার সাথে উচ্চতার
ভিন্নতা ( ৬ষ্ট শতক)
সেন্ট পলস এর সাথে উচ্চতার ভিন্নতা ( ১৭ শ
শতক)
রোমের সেন্ট পিটার এর সাথে উচ্চতার ভিন্নতা
( ১৭ শ শতক)
গিজার পিড়ামিডের এর সাথে উচ্চতার ভিন্নতা
( ৩২০০ খ্রীষ্ট পূর্বাব্দ )
—–==–=–==—–
কন্সট্রাকশনের ব্যাবহৃত ম্যাটেরিয়েলস
এই কমপ্লেক্স এ কোন স্টিল ব্যাবহৃত হবেনা।
গঙ্গার মাটি থেকে বানানো ইটের দেয়াল দিয়ে
এই উচ্চতা তৈরি করা হবে।বাংলার আদি
স্থাপত্য সমুহ এই মাটি দিয়েই বানানো হত। তাই
স্থপতি এখানে সেই পুরাতন স্থাপত্য রীতি ই
ব্যাবহার করবেন।
মন্দিরটি গঙ্গা থেকে থেকে ৫ মিটার উচ্চতায়
বানানো হবে।মাটিতে থাকবে ২.৫ মিটার পুরু
কনক্রিট স্লাব যা ৪ এক্র জায়গা জুড়ে থাকবে- যা
মায়া পুরের কাদা মাটি থেকে এই মন্দিরকে
পতনের হাত থেকে রক্ষা করবে। এবং যা হবে
অনেক দিন স্থায়ী একটি মন্দির।
শেষ ডিজাইন করার আগেঃ
২০০০ সালে এই মন্দিরের ডিজাইন করার কাজ
শেষ হয়। অনেক বার পরিবর্তনের পর এই শেষ
ডিজাইন ঊঠে আসে সবার নজরে। যাতে যুক্ত
হয়েছে হিন্দু ধর্মের অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ
নিদর্শনের ছাপ।
এটা গুরু দেশাম এর একটা শ্তাপত্য কলাই নয়- এতে
যুক্ত হয়েছে ট্র্যাডিশনাল বৌদ্ধিক ও হিন্দু
শ্তাপত্য কলার এক অদ্ভুত মিশ্রন যা একে
দাঙ্করেছে এক অমুল্য স্থাপত্যের স্বীকৃতি।
এই স্থাপত্য কলাকে এক স্ম্যক রুপ দান করা কিন্তু
ইসকনের প্রথমবারের মত চেষ্টা নয় । এর আগে
ইসকনের বেঙ্গালোর মন্দিরটির মাঝে দেখা যায়
ইসকনের অপূর্ব মিশ্রনের সদিচ্ছা। এখানে একদম
নতুন ভাবে ইসকনের মন্দিরটা বানানো হয়েছে
যাতে ব্যাবহৃত হয়েছে এক অনন্য ডিজাইনের
মোজাইক- টাইলস সহ নবীন সব ম্যাটেরিয়েলস।
দুই বছর এর প্রচেষ্টার পর বাংলার এবং ওড়িষ্যার
স্থাপত্য রীতির মিশ্রনে এই বৈদিক মন্দির এর
ডিজাইন করা হয় যাতে প্রতিফলিত হয় বাংলার
ট্র্যাডিশনাল বাঁশের তৈরি ঘরের আদলে আর্চ ।
এই আর্চ বাংলার অনেক মন্দিরের মুল স্থাপত্য
রীতিতে দেখা যায়।
বাংলার মন্দির গুলোতে দেখা যাউ গোলাকার
দেয়ালে ঘীরে থাকে টেরাকোটা যাতে
দেখানো হয় হাজার বছরের পুরানো ইতিহাস ও
ঐতিহ্য। রামায়ন ও মহাভারতের ইতিহাস ও
অংকিত আছে এই সকল মন্দিরে। ইসকনের এই নতুন
মন্দিরে এই বাংলার টেরাকোটা ও ঊঠে এসেছে
সবিনয়ে। যেখানে মিশেছে আধুনিক গ্লাস ও
কাঠের মিশ্রন।
বাংলার মন্দিরের টেরাকোটা
অবশেষে বলা যায় স্থাপত্য কলার অদ্ভুত নিদর্শন
এই ইসকনের মন্দিরে আছে টেরাকোটা এবং
গ্লাসের সমন্বয় যার মাধ্যমে সূর্যের আলোর ও
বাতাস কে নিয়ে তৈরি করা হবে এক সুন্দর
পরিবেশ যাতে ভক্তের মন হবে ঈশ্বরের বন্দনায়
পবিত্র।
mayapur iskcon temple room booking
mayapur iskcon moth naavadvip mayapur
iskcon mayapur iskcon guest house contact number iskcon mayapur gada bhavan room
booking iskcon puspasamadhi mandir mayapur, west bengal how to reach mayapur Page Navigation
2019 post website
নদীয়া জেলা পশ্চিম বঙ্গের
mayapur iskcon temple room booking
mayapur iskcon moth naavadvip mayapur
iskcon mayapur iskcon guest house contact number iskcon mayapur gada bhavan room
booking iskcon puspasamadhi mandir mayapur, west bengal how to reach mayapur Page Navigation
2019 post website
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন