বাওড়া গ্ৰামের ইতিকথার একটি লোক নিরুক্ত শোনা যায় তা হলে এই গ্ৰামের পূর্ব নাম বটকৃষ্ণপুর । এই তথ্যকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। । প্রাচীন গ্ৰামটি গড়ে উঠেছিলো অজয় নদীর 'বাওড়' অঞ্চলে।বাওড় শব্দের অর্থ হলো নদীর তীরবর্তী পতিত এলাকা। এককালে চৈতন্যপুররের রায়ের জমিদারি অংশের নাকি বাঘ ও ছিল, তির নিদর্শন গ্ৰামের উওরে বাঘঘণে নামের একটি মজা পুকুর। বিশেষত অজয় নদী থেকে দূরে অবস্থিত অঞ্চলটি কে 'বাউর' সম্প্রদায় বাস করতো। 'বাউর' শব্দের উৎপত্তি বাতুল >বাউল>বাউর । বাতুল শব্দের অর্থ হলো যারা বাচাল ; বিশেষত সংসার ধর্ম পালন করেও ভবঘুরে হয়ে গান গেয়ে বেড়ায়। এরা এই পতিত অঞ্চলে প্রথম বসতি স্থাপন করে। তার পর থেকেই 'বাউরা' নামের উৎপত্তি হয়েছে। তবে দশ শতকে যখন মোঘল শাসনের অবসান ও বাংলায় রাজনৈতিক ও সামাজিক অরাজকতা দ্বন্ধ চরম শিখরে পৌঁছে যায় তখন এই বাউর সম্প্রদায় গোঁড়া
হিন্দুত্বের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠে। অনেক মূসলমানও বউরদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। গোঁড়া হিন্দু জমিদার রায় সাহেব এদের কে উৎখাত করে পিন্ডিরায় রায়তদের বসান । কারণ এরা পাশ্ববর্তী মুসলিম গ্ৰামের (পিন্ডিরা) কিছু মুসলিম শিষ্যকে বাউরা গ্ৰাম
গ্ৰামের গোদার পাড় এ আশ্রয় দিয়েছিল এখানে সমাধিক্ষেত্র 'গোদারপার, নামক স্থানে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তথাকথিত আছে পাশ্ববর্তী গ্ৰাম শ্যামনগর (শ্যামবাজার) থেকে বৈষ্ণব ভক্ত একটি বটগাছের নিচে প্রথম বসতি স্থাপন করেন এবং তৎকালীন নায়েব এই অঞ্চলের নাম দেন বটকৃষ্ণপুর পরবর্তী কালে এই'বাউর' সম্প্রদায় মুসলিম আসক্তিতে বিরক্ত হয়ে চৈতন্যপুরের রায় তাদেরকে এখান থেকে উৎখাত করে। এবং গ্ৰামের মধ্যে চট্টরাজ , মুখোপাধ্যায়, চক্রবর্তী, বন্দোপাধ্যায়, ভট্টাচার্য, রায় প্রভৃতি ব্রাহ্মন সম্প্রদায় কে বসতি স্থাপন করে দেন । বিংশ শতাব্দীর ষাটের দশকে কর্মকার, সদগোপ(ঘোষ) সামন্ত (পাল) ,লাহা (লায়ের) প্রভৃতি শ্রেনির মানুষ এখানে বসতি স্থাপন করেন। ধিরে ধিরে সর্দার (বাউরি) বাগদি (ধীবর) মাঝি যা বসতি গড়ে তুলতে থাকে। এই শ্রেনির মানুষদেরকে অস্পৃশ্য বলে মনে করা হয়। বিশেষত হাঁড়িদের তখন কেউ স্পর্শ করলে বা গড়াই বাড়ীতে নিমন্ত্রণ রক্ষা করলে গঙ্গা স্নান করতে হত। তাই এদের কে গ্ৰামের বাইরে স্থান দেওয়া হয়েছিল ।এই গ্ৰাম ছিল প্রধানত ব্র্যাহ্মন প্রধান তাই অধিকাংশ ব্র্যাহ্মন গ্ৰামের মধ্যে বসতি স্থাপন করেছে। যাইহোক বটকৃষ্ণ নাম এখন প্রচলিত নয় তার বাউর সম্প্রদায় ও গ্ৰামের বিশেষ নামটি স্বমহিমায় ইতিহাস এ স্থান নিয়েছে।
গ্ৰামের গোদার পাড় এ আশ্রয় দিয়েছিল এখানে সমাধিক্ষেত্র 'গোদারপার, নামক স্থানে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তথাকথিত আছে পাশ্ববর্তী গ্ৰাম শ্যামনগর (শ্যামবাজার) থেকে বৈষ্ণব ভক্ত একটি বটগাছের নিচে প্রথম বসতি স্থাপন করেন এবং তৎকালীন নায়েব এই অঞ্চলের নাম দেন বটকৃষ্ণপুর পরবর্তী কালে এই'বাউর' সম্প্রদায় মুসলিম আসক্তিতে বিরক্ত হয়ে চৈতন্যপুরের রায় তাদেরকে এখান থেকে উৎখাত করে। এবং গ্ৰামের মধ্যে চট্টরাজ , মুখোপাধ্যায়, চক্রবর্তী, বন্দোপাধ্যায়, ভট্টাচার্য, রায় প্রভৃতি ব্রাহ্মন সম্প্রদায় কে বসতি স্থাপন করে দেন । বিংশ শতাব্দীর ষাটের দশকে কর্মকার, সদগোপ(ঘোষ) সামন্ত (পাল) ,লাহা (লায়ের) প্রভৃতি শ্রেনির মানুষ এখানে বসতি স্থাপন করেন। ধিরে ধিরে সর্দার (বাউরি) বাগদি (ধীবর) মাঝি যা বসতি গড়ে তুলতে থাকে। এই শ্রেনির মানুষদেরকে অস্পৃশ্য বলে মনে করা হয়। বিশেষত হাঁড়িদের তখন কেউ স্পর্শ করলে বা গড়াই বাড়ীতে নিমন্ত্রণ রক্ষা করলে গঙ্গা স্নান করতে হত। তাই এদের কে গ্ৰামের বাইরে স্থান দেওয়া হয়েছিল ।এই গ্ৰাম ছিল প্রধানত ব্র্যাহ্মন প্রধান তাই অধিকাংশ ব্র্যাহ্মন গ্ৰামের মধ্যে বসতি স্থাপন করেছে। যাইহোক বটকৃষ্ণ নাম এখন প্রচলিত নয় তার বাউর সম্প্রদায় ও গ্ৰামের বিশেষ নামটি স্বমহিমায় ইতিহাস এ স্থান নিয়েছে।


khub valo laglo nijer gramer itihas jante pere. Aro information add korle khub valo lagbe.
উত্তরমুছুনthank you
উত্তরমুছুনthik aache aaro natun kichu add korbo
Kubh Valo laglo,, but ata ki sotti??
উত্তরমুছুনYes really
মুছুনVery good
উত্তরমুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন