মারা যায়।।
গৌড়েশ্বর তাঁর প্রিয় সামন্তকে পুনরায় নিজ শ্যালিকী রঞ্জাবতীর সাথে বিবাহ দেন।। ফলে শ্যালক অর্থাৎ রঞ্জাবতীর ভ্রাতা মহামদ বা মাহূদ্যা ক্ষুব্ধ হন ও তাদের মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেন ।। ধর্মের প্রভাবে তার সার্থক হয় না। রঞ্জাবতী শুলেভর দিয়ে প্রাণ ত্যাগের উদ্যোগ নিলে ধর্ম ঠাকুর তাকে পুএ লাভের বর দেন । যথা সময়ে সর্বগুণান্তিত পুএ লাভ করেন। তার নাম লাউসেন ।মাতুল মাহ্যুদার কুপরামর্শে গৌড়েশ্বরের কাছে লাইসেনকে পশ্চিম দিকে সূর্য উদয় দেখাতে বলা হলে ধর্মে রং কৃপায় তার করে দেখায় । সেই ধর্ম মাহাত্ম্য প্রচারিত হয়ে আসছে।
যাইহোক আর্য অনার্য সংস্কৃতির মিশ্র ফসল এই ধর্মরাজ । কোথাও পূজা হয় বৈষ্ণব (নারায়ণ) মতে , আবার কোথাও অনার্য যঙ্গ ও বলিদান মতে। কোথাও পূজিত হন কালুরাম নামে, কোথাও বাঁকুরা রায় , কোথাও নিরঞ্জন নাম। বর্তমানে (বৌদ্ধ ও শৈব - নারায়ন বৈষ্ণব ) তিন দেবতার মিশ্র দেবতারূপে ধর্মরাজ নামে প্রস্তর খন্ডে পূজিত হন।
কথিত ,আছে বাউরা , শ্যামবাজার,ধান্যরুখী, জামালপুর,জালপাড়া, ভাটিগাছ এই পাঁচটি গ্ৰামে পঞ্চপান্ডব যথাক্রমে যুধিষ্ঠির, অর্জুন,ভীম, নকুল,সহদেব ধর্ম পুএ (যুধিষ্ঠির) অনুচর
অনুচররূপে পূজিত।
জামালপুরে জৈষ্ঠ্য ভ্রাতা যুধিষ্ঠির বুড়োর ছদ্মবেশে একটি গভীর জঙ্গলে দুগ্ধ পান করতেন সেই স্থানে গড়ে ওঠে বুড়োরাজ তলা। শ্যামবাজের কালো রায় একদিন অসম্মানিত হয়ে বাউরার একটি ৺কাদর দিয়ে যাতায়াত কালে জৈনিক কর্মকার ও জৈনিক ঘোষ পরিবারের ব্যক্তি প্রস্তর খন্ড রুপে দেখতে পান । তাঁরা তাকে নির্ থেকে উত্থিত নিরঞ্জন বলে দাবি জানান। পরবর্তী কালে ইতর ভদ্র গ্ৰামের দক্ষিণ পশ্চিম পাড়া এবং অশ্থ্ব গাছের তলায় শিবের স্বানে স্থাপন করেন এবং বুদ্ধ পূর্ণিমায় শৈব মতে পূজা বিধনে হয়। ইতর ভদ্র সম্মিলিতভাবে পূজা অর্চনা করেন। সন্নাসীরা ব্রত পালন করেন। বর্তমানে বাউরা গ্ৰামে এটি সার্বজনীন পূজা হিসেবে পালিত হয়।। পূজা উপলক্ষে মেলা বসে। বাবার স্নানযাত্রা অতি মনোরম শোভা সৃষ্টি করে। বাউরার ধর্মরাজ 'নিরঞ্জন' রূপে পূজিত হন। এই ধর্ম ঠাকুরের কাছে বহু মানুষ মানত করে সিদ্ধি লাভ করে থাকেন।
((**লেখক__ পরিতোষ লাহা))
*** প্রথম প্রচার স্বাত্তীক পত্রিকা য়
প্রথম (২০১৭)
গৌড়েশ্বর তাঁর প্রিয় সামন্তকে পুনরায় নিজ শ্যালিকী রঞ্জাবতীর সাথে বিবাহ দেন।। ফলে শ্যালক অর্থাৎ রঞ্জাবতীর ভ্রাতা মহামদ বা মাহূদ্যা ক্ষুব্ধ হন ও তাদের মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেন ।। ধর্মের প্রভাবে তার সার্থক হয় না। রঞ্জাবতী শুলেভর দিয়ে প্রাণ ত্যাগের উদ্যোগ নিলে ধর্ম ঠাকুর তাকে পুএ লাভের বর দেন । যথা সময়ে সর্বগুণান্তিত পুএ লাভ করেন। তার নাম লাউসেন ।মাতুল মাহ্যুদার কুপরামর্শে গৌড়েশ্বরের কাছে লাইসেনকে পশ্চিম দিকে সূর্য উদয় দেখাতে বলা হলে ধর্মে রং কৃপায় তার করে দেখায় । সেই ধর্ম মাহাত্ম্য প্রচারিত হয়ে আসছে।
যাইহোক আর্য অনার্য সংস্কৃতির মিশ্র ফসল এই ধর্মরাজ । কোথাও পূজা হয় বৈষ্ণব (নারায়ণ) মতে , আবার কোথাও অনার্য যঙ্গ ও বলিদান মতে। কোথাও পূজিত হন কালুরাম নামে, কোথাও বাঁকুরা রায় , কোথাও নিরঞ্জন নাম। বর্তমানে (বৌদ্ধ ও শৈব - নারায়ন বৈষ্ণব ) তিন দেবতার মিশ্র দেবতারূপে ধর্মরাজ নামে প্রস্তর খন্ডে পূজিত হন।
কথিত ,আছে বাউরা , শ্যামবাজার,ধান্যরুখী, জামালপুর,জালপাড়া, ভাটিগাছ এই পাঁচটি গ্ৰামে পঞ্চপান্ডব যথাক্রমে যুধিষ্ঠির, অর্জুন,ভীম, নকুল,সহদেব ধর্ম পুএ (যুধিষ্ঠির) অনুচর
অনুচররূপে পূজিত।
জামালপুরে জৈষ্ঠ্য ভ্রাতা যুধিষ্ঠির বুড়োর ছদ্মবেশে একটি গভীর জঙ্গলে দুগ্ধ পান করতেন সেই স্থানে গড়ে ওঠে বুড়োরাজ তলা। শ্যামবাজের কালো রায় একদিন অসম্মানিত হয়ে বাউরার একটি ৺কাদর দিয়ে যাতায়াত কালে জৈনিক কর্মকার ও জৈনিক ঘোষ পরিবারের ব্যক্তি প্রস্তর খন্ড রুপে দেখতে পান । তাঁরা তাকে নির্ থেকে উত্থিত নিরঞ্জন বলে দাবি জানান। পরবর্তী কালে ইতর ভদ্র গ্ৰামের দক্ষিণ পশ্চিম পাড়া এবং অশ্থ্ব গাছের তলায় শিবের স্বানে স্থাপন করেন এবং বুদ্ধ পূর্ণিমায় শৈব মতে পূজা বিধনে হয়। ইতর ভদ্র সম্মিলিতভাবে পূজা অর্চনা করেন। সন্নাসীরা ব্রত পালন করেন। বর্তমানে বাউরা গ্ৰামে এটি সার্বজনীন পূজা হিসেবে পালিত হয়।। পূজা উপলক্ষে মেলা বসে। বাবার স্নানযাত্রা অতি মনোরম শোভা সৃষ্টি করে। বাউরার ধর্মরাজ 'নিরঞ্জন' রূপে পূজিত হন। এই ধর্ম ঠাকুরের কাছে বহু মানুষ মানত করে সিদ্ধি লাভ করে থাকেন।
((**লেখক__ পরিতোষ লাহা))
*** প্রথম প্রচার স্বাত্তীক পত্রিকা য়
প্রথম (২০১৭)
(((মানুষ মাত্রই ভুল হয় , ওপরে তুলে ধরা কাহিনীটার লেখা ভূল থাকলে ক্ষমার চোখে দেখবেন ধন্যবাদ))
Dharmoraj pujo

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন